শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের নাজিরপুরে ধর্ষণের শিকার দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর (৭) পরিবারকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে ৮ দিন ঘুরিয়ে অবশেষে শিশুটির বাবাকে ৩ হাজার টাকা নিয়ে চুপ থাকতে বলেছেন এক ইউপি সদস্য। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের চাঁদকাঠী বাজার সংলগ্ন জিলবুনিয়া গ্রামে। ধর্ষণে অভিযুক্ত টুলু মন্ডল (১৫) ওই কিশোর একই গ্রামের পংকজ মন্ডলের ছেলে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা জানান, গত ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় তার মেয়ে স্থাণীয় চাঁদকাঠী বাজারে এক শিক্ষিকার কাছ থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফিরছিল।
এসময় টুলু মন্ডল তাকে অনুসরণ করে। মেয়েটি চাঁদকাঠী বাজার সংলগ্ন ব্রিজের কাছের মোকসেদ মাস্টারের ভাড়া দেওয়া টিনসেড বাড়ির কাছে আসলে টুলু তার মুখচেপে ধরে তাকে ওই বাড়ির বাথরুমে নিয়ে যায়।
সেখানে শিশুটর মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে টুলু। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি বাড়িতে ফিরলে তাকে চিকিৎসার জন্য নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখান থেকে চিকিৎসক শিশুটিকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠালেও এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় সুনিল বেপারী, রব বাড়ৈ ও লিটন মেম্বার বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার চাপ দিয়ে সেখানে যেতে দেয়নি।
কিন্তু পরে গত বুধবার স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন বিশ্বাস ওই ছাত্রীর বাবাকে ৩ হাজার টাকা নিয়ে চুপ থাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য লিটন বিশ্বাস জানান, শুরু থেকেই তিনি ওই ছাত্রীর বাবাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
নাজিরপুর থানার ওসি মো. মুনিরুল ইসলাম জানান, এ ধরনের কোন ঘটনা তিনি শোনেননি বা কেউ অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply